কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ঢাকার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল চট্টগ্রাম

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকা থেকে জয় চিনিয়ে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মৃত্যুঞ্জয়ের নাটকীয় শেষ ওভারে শেষ হাসি হেসে ৩ রানের জয়ে প্রতিযোগীতায় টিকে রইল আফিফ হোসাইনের দল।

মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শামিম হোসাইনের দারুণ অর্ধশতকে ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে তামিম ইকবাল ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারে মৃত্যুঞ্জয়ের অসাধারণ নৈপুন্যে ১৪৫ রানেই থামতে হয় ঢাকাকে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই ১ রান করে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান। বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসও। আরাফাত সানির শিকার হয়ে ২৬ রানে বিদায় নেন তিনি। চারে ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও ব্যর্থ হয়ে ২ রানে বিদায় নেন। এরপর মাহমুদউল্লাহর বলে ২৭ রানে উইকেট হারান নতুন অধিনায়ক আফিফ।

 

 

পাঁচে ব্যাট করতে নেমে জ্বলে উঠেন শামিম। কিন্তু অপরপ্রান্তে আকবর আলি থিতু হতে না পেরে ৯ রানে বিদায় নেন। এরপর শামিমকে সঙ্গ দেন বেনি হাওয়েল। শেষদিকে এসে দারুণ ব্যাট করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন শামিম। ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৭ বলে ৫২ রান করে শেষ ওভারে বিদায় নেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল। ঢাকার হয়ে সব বোলারই একটি করে উইকেট তুলে নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারান ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। ৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে আফিফের তালুবন্দি হন আফগান এই ব্যাটার। তিনে নামা ইমরান উজ জামানও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ রানে তার বিদায়ের পর টপ-অর্ডারেই আজ ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু কোনো রান ব্যাটে আসার আগেই মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

 

 

মাশরাফিকর বিদায়ের পর একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিম ইকবালকে সঙ্গ দেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন এ দুই পাণ্ডব। মাহমুদউল্লাহকে ২৪ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। ছয়ে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছুক্ষণ তামিমকে সঙ্গ দেন শুভাগত হোম। শেষ দিকে এসে শরিফুলের শিকার হয়ে ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা কাইস আহমদ বোল্ড হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে।

কাইসের বিদায়ের পর শেষ ওভারে ব্যাট করতে নামেন নাঈম শেখ। দলকে জেতানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সামনে থাকলেও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। অপরদিকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের যোগ্যতার জানান দিয়ে ঢাকাকে ১৪৫ রানেই আটকে দেন মৃত্যুঞ্জয়। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ বলে ৭৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৫ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন নাঈম। চট্টগ্রামের হয়ে দুইটি করে উইকেট পান শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয়। একটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ ও মিরাজ।

পাঠকের মতামত: